কচু এমন একটি উদ্ভিদ যার প্রত্যেকটি অংশ খাওয়া যায়। কচুর পাতা, ডগা, মুখী, লতি, সব কিছুই আলাদা আলাদা খাদ্য উপাদান ও পুষ্টিগুনে ভরপুর একটি উদ্ভিদ। গ্রাম অঞ্চলের প্রতিটি বাড়ীর আশে পাশে এবং পতিত জমিতে, কচু গাছ জন্মে। দেশের প্রায় সব এলাকায় এখন কচুর গাছ চাষ করা হয়।
খাওয়ার উপযোগীর মধ্যে হল
১) দুধ কচু ২) মান কচু ৩) মুখী কচু ৪) জল কচু ৫) পঞ্চমুখী কচু ৬) ওল কচু উল্লেখযোগ্য
কচু শাকের উপকারিতা
১) এই শাকের সব চেয়ে বড় উপকারিতা হল এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাংগানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, ও ফসফরাস। আমাদের দাঁত ও হাড়ের গঠনের জন্য কচুশাকের তুলনা সীমাহীন।তাছাড়া ও ক্ষয়রোগ প্রতিরোধে কচু শাকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্ভিদ। নিয়মিত খাবারে কচু শাক রাখলে দাঁত ও হাড় ভালো থাকবে।
২) কচু শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ থাকে যার কারণে খাবারকে অতি সহজে হজম করতে সাহায্য করে। যে সব ভাই বোনদের কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগ আছে। তারা নিয়মিত কচুশাক খেতে পারেন। এতে আপনাদের কোষ্ঠকাঠিন্যে সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
More Read:দেশেই করোনার টিকা উৎপাদনের খুলছে দুয়ার
৩) কচু শাকে রযেছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকার কারণে রাতকানা, ছানি পড়াসহ চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধসহ দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে দেয় দ্বিগুণ। তাই অবশ্যই আমরা নিয়মিত খাবারে কচু শাক রাখব।
Source of: online
৪) কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে তাই রক্তশূন্যতায় ভোগা রোগীদের জন্য কচু শাক খাবারের তালিকায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে সব ভাই বোনেরা রক্তস্বল্পতায় ভূগছে তারা নিয়মিত কচু শাক খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা রক্তশূন্যতা দূর করতে অনেক ভূমিকা রাখে।
৫) কচুর ডাঁটায় প্রচুর পরিমানে পানি থাকে। তাই গরমের সময় কচুর ডাঁটায় রান্না করে খেলে শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করে দেয়।
৬) কচুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ক্যালসিয়াম যা আমাদের হাড় শক্ত করতে সহায়তা করে। তাই আমরা নিয়মিত কচু শাক খাওয়ার অভ্যাস কর।
৭) কচু এমন একটি উদ্ভিদ যার প্রত্যেকটি অংশ খাওয়া যায়। কচুর পাতা, ডগা, মুখী, লতি, সব কিছুই আলাদা আলাদা খাদ্য উপাদান ও পুষ্টিগুনে ভরপুর একটি উদ্ভিদ। গ্রাম অঞ্চলের প্রতিটি বাড়ীর আশে পাশে এবং পতিত জমিতে, কচু গাছ জন্মে। দেশের প্রায় সব এলাকায় এখন কচুর গাছ চাষ করা হয়। খাওয়ার উপযোগী জাতের মধ্যে হল।
৮) কচুর লতিতে চিনির পরিমাণ কম থাকার কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরাও নিশ্চিন্তে খেতে পারেন কচুর লতি।
রান্না করা প্রতি ১০০ গ্রাম কচুর পুষ্টিমান নিম্নরুপঃ
খাদ্য শক্তি ৫৯৪ কিলোক্যালরি ২) শর্করা ৩৪.৬গ্রাম
চিনি ০.৪৯ গ্রাম ৪) আঁশ ৫.১ গ্রাম ৫) চর্বি ০.১১ গ্রাম
প্রোটিন ০.৫২ গ্রাম ৭) ভিটামিন বি–১০.১০৭ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি–২০.০২৮ মিলিগ্রাম ৯) ভিটামিন বি–৩০.৫১ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি–৫০.৩৩৬ মিলিগ্রাম ১১) ভিটামিন বি–৬০.৩৩১ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি ৫ গ্রাম ১৩) ভিটামিন ই ২.৯৩ মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়াম ১৮ মিলিগ্রাম ১৫) আয়রন ০.৭২ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেশিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম ১৭) ম্যাঙ্গানিজ ০.৪৪৯ মিলিগ্রাম
ফসফরাস ৭৬ মিলিগ্রাম ১৯) পটাশিয়াম ৪৮৪ মিলিগ্রাম
জিঙ্ক ০.২৭ মিলিগ্রাম
সতর্কতা
কচুতে অক্সালিক এসিডের উপস্থিতি থাকার কারণে খাবার পর মাঝে মধ্যে গলা চুলকায়। অনেকেই আমরা খেতে পারি না। তাই কচু রান্না করার সময় লেবুর রস বা সিরকা ব্যবহার করা উচিত। এবং যাদের শরীরে অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাদের কচু বা কচুশাক না খাওয়া টা অনেক ভালো।
Source of: online
#কচুশাকেরউপকারিতাওঅপকারিতা, #খেলেকিএলার্জিহয়, #, কালোকচুশাককচুশাকেরঅপকারিতা, #লালশাকেরউপকারিতা, #কচুশাকেররেসিপি
No comments:
Post a Comment
Thank you for your message, I see all your messages, it is not possible to reply many times due to busyness, I hope I will reply to everyone in time, thank you for being with me. Thanks you watching my content. Please like, Follow, Subscribe.