উপকারিতা: সূর্য নমস্কার বা সূর্যের উপাসনা হাজার বছরেরও বেশি পুরনো। সূর্যদেব সংসৃষ্ট, পরিবর্ধিত ও পুঞ্জীভূত রোগের জীবাণু থেকে বস্তুসমূহকে বিশুদ্ধ করে। সূর্য নমস্কার আসন ও ব্যায়ামের সমন্বয়ে সৃষ্ট। এটি অভ্যাসের ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, পরিপাকযন্ত্র, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস এবং স্নায়ুমণ্ডলীর সবলতা, যকৃতের গোলমাল, বহুমুত্র, সর্দিকাশি, হাঁপানি, বুক ধড়ফড়ানি, হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের ক্রিয়াবৈষম্য, মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের দুর্বলতাজনিত রোগসমূহ, সামান্য শ্রমে বেশি কাতরতা ইত্যাদি নিরাময় হয়।
পদ্ধতি: * প্রথমে হাত জোড় করে নমস্কার করার ভঙ্গিতে দাঁড়ান। * হাতের তালুতে তালুতে খুব জোরে চাপুন যাতে বুকের পেশি শক্ত হয়। তার পর এই চাপ বজায় রেখে অর্ধচন্দ্রাসনের ভঙ্গিতে হাত তুলে পেছনে বেঁকান। * ওখান থেকে সামনে ঝুঁকে হাতপায়ের সামনে মাটিতে রেখে পদহস্তাসন করুন। * এই অবস্থায় হাঁটু ভেঙে বসে পড়ুন। * ওই অবস্থায় ডান পা পেছনে সোজা করে দিন। * এ বার হাঁটু থেকে মাথা তুলে সামনের দিকে তাকান। * বাঁ পা পেছনে সোজা করে দিন। * এ বার ডনের ভঙ্গিতে হাতের জোরে নামুন। * ডন থেকে আস্তে আস্তে উঠুন। * বাঁ পা পূর্বের ভঙ্গিমায় ভাঁজ করে সামনে নিয়ে আসুন। * মাথা নামান। * ডান পা ভাঁজ করে সামনে নিয়ে আসুন। * নিতম্ব গোড়ালিতে লাগিয়ে বসুন। * আবার নিতম্ব তুলে সোজা রেখে পদহস্তাসন করুন। * এ বার হাত তুলে অর্ধচন্দ্রাসনের ভঙ্গিতে পেছনে বেঁকান। * সেখান থেকে সোজা হয়ে হাত জোড় করে নমস্কার করার ভঙ্গিতে ফিরে আসুন।
এই হল এক বার। স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাসে এ রূপ তিন বার থেকে ক্রমশ বাড়িয়ে ছ’ বার অভ্যাস করুন।
No comments:
Post a Comment
Thank you for your message, I see all your messages, it is not possible to reply many times due to busyness, I hope I will reply to everyone in time, thank you for being with me. Thanks you watching my content. Please like, Follow, Subscribe.