Sanatandharma
Pages
https://a-ads.com/
ব্রেকিং নিউজ
Tuesday, February 11, 2020
সনাতন ধর্মে অমানবিক বর্ণ প্রথা ও বেদের বাণী
বর্ণ প্রথা শ্রী ভগবানের সৃষ্টি। কিন্তু তিনি তা গুণ কর্ম অনুসারে নির্ণয় করতে বলেছেন , বর্তমান হিন্দু সমাজের রীতি অনুসারে জন্ম অনুসারে তা নির্ণয় করতে বলেন নি। বেদ বা গীতায় জন্মসুত্রে বর্ণ নির্ণয়ের পক্ষে কোনও স্পষ্ট নির্দেশ -ও নেই । হিন্দু সমাজের ব্যবহারিক জগতের বিধি বিধান দেশ কাল পরিস্থিতিতে মাঝে মাঝে পরিবর্তন হয়। এমন -ই এক সামাজিক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সময় কিছু মানুষ জন্মানুসারে বর্ণ নির্ণয়ের প্রথা সুরু করেন। যারা সুরু করেছিলেন বা যারা কঠোর ভাবে তা মানতেন ,তাঁরা কেউ কেউ সুবিধাবাদি হলেও, সবাই খারাপ ছিলেন না।
সুবিধাবাদী লোক গুলো ছাড়া বাকী যারা এই প্রথার প্রবর্তক ছিলেন তাঁরা আধুনিক অর্থনীতির ”শ্রম বিভাজন ” নীতি প্রচলন করে সমাজ থেকে বেকারি উতখাত করতে চেয়েছিলেন। আশা করা গেছিল যে এর ফলে এক-ই পেশার মানুষের সন্তান সেই পেশায় দক্ষতা সহজেই পিতা ও পরিবার থেকে সিখে নেবে। পরিবার এক্ষেত্রে প্রসিক্ষন কেন্দ্র হয়ে উঠবে। এর সাথে আধ্যাত্মিকতার কোনও অনিবার্য সংযোগ নেই। পেশা যাই হোক না কেন , সে ঈশ্বর লাভ করতেই পারেন।
কিন্তু কালে সেই উদারতাও বন্ধ হতে সুরু হলে বুদ্ধাবতারে ভগবান বর্ণ , যজ্ঞ , বলি প্রভৃতি প্রথার বিকৃত রূপের নিন্দা করেন। এই প্রসঙ্গে আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা এই যে , সারা পৃথিবীতে পুরোহিত শ্রেণী ও শাসক স্রেনি একত্রে অবহেলিত মানুষকে চুটিয়ে শাসন ও শোষণ করেছে , ভারতেও তা হয়েছে। কিন্তু এ দেশের হিন্দু সমাজের ওই শাসক ও পুরোহিত শ্রেণী থেকেই আবার অবতার ও সাধক গন এসে ধর্ম ও দেশ রক্ষা করেছে যা অন্য দেশে বা অন্য রিলিজিওনে প্রায় কখনও ঘটে নি। জন্মসুত্রে শাসক শ্রেণীর কৃষ্ণ বা বুদ্ধ কিম্বা পুরোহিত শ্রেণীর রামানুজ বা চৈতন্য দেব বা রামকৃষ্ণ দেব তাঁদের যুগ হিসেবে যথা সম্ভব হিন্দু ও ভারতীয় সমাজের বৈপ্লবিক সংস্কার করেছেন।
তাঁদের অবদানকে তাই স্রদ্ধানত চিত্তে স্বীকার করতে হবে। উচ্চ বর্ণ মানেই তাই নিকৃষ্ট ,মানবতা বিরোধী জীব নয়— এ সত্য ও মানতে হবে। তথা কথিত উচ্চ বর্ণে আবির্ভূত হয়েও এই দিব্য পুরুষেরা বর্ণ ,শ্রেণী , মতের ঊর্ধ্বে তাঁদের জীবন ও আদর্শ কে স্থাপন করেছিলেন। তাঁরা হিন্দু ও ভারতীয় সমাজের যতটুকু সংস্কার করতে পেরেছিলেন, তার পরেও আরও কাজ বাকী রয়ে গেছে।
এই প্রজন্মের সকল বর্ণের হিন্দুকে সেই দায়িত্ব নিতে হবে। প্রনবানন্দ মহারাজ যেমন বলতেন যে , সবার আগে চাই হিন্দুতে হিন্দুতে মিলন, তারপর হিন্দু অহিন্দুর মিলন এমনিতেই সুসম্পন্ন হবে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
বাণী চিরন্তণী Motivational quotes
Popular Posts
-
গাজর গাজর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অবশ্যই আপনার জানা উচিত, কারণ গাজরকে বলা হয় সুপার ফুড। খাদ্য উপাদান গুলোর মধ্যে এটি খুব শক্তিশালী। গাজ...
-
Category একাদশী তত্ত্ব/একাদশী মাহাত্ম্য একাদশী পালনের নিয়ম, একাদশী তত্ত্ব, একাদশী মাহাত্ম্য । একাদশী বৎসরে মোটা ২৬টি। যথাঃ উৎপন্না, মো...
-
তুলসী গাছ হিন্দুদের কাছে এক বিশেষ মাহাত্ম্য নিয়ে আছে। তুলসী গাছ সম্পর্কে ১০টি তথ্য..... -------------------------------------- শাস্ত...
-
বেল শীতের শেষ ও গরমের শুরু এই সময় আবহাওয়ার পরিবর্তন খুব তাড়াতাড়ি প্রভাব ফেলে শরীরে। তার জেরে ছোট থেকে বড় প্রায় সকলেই নাজেহাল হন। এই সময়ট...
-
বর্ণ প্রথা শ্রী ভগবানের সৃষ্টি। কিন্তু তিনি তা গুণ কর্ম অনুসারে নির্ণয় করতে বলেছেন , বর্তমান হিন্দু সমাজের রীতি অনুসারে জন্ম অনুসারে ত...
-
ক চু এমন একটি উদ্ভিদ যার প্রত্যেকটি অংশ খাওয়া যায়। কচুর পাতা, ডগা, মুখী, লতি, সব কিছুই আলাদা আলাদা খাদ্য উপাদান ও পুষ্টিগুনে ভরপুর একট...
-
সদ্গুরু জাগ্গি বাসুদেব একজন ভারতীয় যোগী বিশ্ববিখ্যাত অতীন্দ্রিয়বাদী এবং স্বনামধন্য লেখক। তিনি ১৯৫৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ভারতের কর্ণা...
-
= ''খতিয়ান'' কি? = ''সি এস খতিয়ান'' কি? = ''এস এ খতিয়ান'' কি? = ''আর এস খতিয়ান...
-
শ্রীমদ্ভগবৎ গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, যখনই পৃথিবীতে অধর্মের প্রাদুর্ভাবে ভক্তের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, দুরাচারীর অত্যাচার ও নিপীড়নে, তখন ধর্...
Hindu international Consciousness
ad
Featured Post
পবিত্র বেদ পাঠ,পবিত্র বেদ পাঠ বিভাগ – ॐ সনাতন ধর্মতত্ত্ব পবিত্র বেদের উৎপত্তি ও ইতিহাস
বেদ মাতার ইচ্ছায় বাংলা ভাষায় ঋগ্বেদের মূলমন্ত্র অর্থ ও টীকাসহ প্রকাশের চেষ্টা করা হয়েছে। ধীরে ধীরে এর কলেবর বৃদ্ধি করার চেষ্টা চলতে থাক...

No comments:
Post a Comment
Thank you for your message, I see all your messages, it is not possible to reply many times due to busyness, I hope I will reply to everyone in time, thank you for being with me. Thanks you watching my content. Please like, Follow, Subscribe.