বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সুবর্ণ আইজ্যাক বারী যুক্তরাষ্ট্রে ‘বিস্ময় বালক’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। সে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, সন্ত্রাসবিরোধী ক্যাম্পেইন ও নিজের লেখা ‘দ্য লাভ’ গ্রন্থের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে চাইল্ড প্রডিজি হিসেবে পরিচিত।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় বারীকে একজন অধ্যাপক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল নিউইয়র্কে জন্ম সুবর্ণের। পিএইচডি স্তরের গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের সমস্যাগুলো সমাধান করতে সক্ষম হওয়ায় খুব অল্প বয়সেই বিশ্বে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী এ অধ্যাপককে বিশেষ সম্মাননা জানিয়েছেন। কুমো বলেন, সুবর্ণ এমন একজন ব্যক্তি, যিনি খুব অল্প বয়সেই বিশ্বে ইতিবাচক পার্থক্য তৈরি করেছেন। গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের মাধ্যমে, সন্ত্রাসবিরোধী ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে, বইয়ের মাধ্যমে আপনি বিশ্বজুড়ে চাইল্ড প্রডিজি হিসেবে পরিচিত। গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে আপনার অর্জন প্রশংসার যোগ্য। তিনি বলেন, একজন বিজ্ঞানী হিসেবে বিশ্বের বর্তমান ঘটনা সম্পর্কে আপনার বিস্ময়কর সচেতনতা এবং বিশ্ব শান্তি প্রচারের জন্য সেই সচেতনতা ব্যবহার করার ইচ্ছা আমাকে মুগ্ধ করে। সুবর্ণকে দেওয়া সম্মাননার স্বীকৃতিপত্রে নিউইয়র্ক গভর্নর লিখেছেন, সব নিউইয়র্কবাসীর পক্ষ থেকে আমি আপনার প্রশংসা করছি। কারণ, ‘দ্য লাভ’ গ্রন্থেয়ের মাধ্যমে আপনি সব ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি এবং সহনশীলতা জাগানোর ক্ষেত্রে অগ্রগতি এনে দিয়েছেন।অভিনন্দন ও অব্যাহত সাফল্য এবং সুখের জন্য শুভকামনা।
গত ১৭ অক্টোবর গভর্নরের পক্ষ থেকে সাড়ে আট বছর বয়সী বিজ্ঞানী সুবর্ণ আইজ্যাক বারীকে স্বীকৃতিপত্রটি দেন অ্যান্ড্রু কুমো। ২০১৮ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাকে স্বীকৃতি দেয় বিজ্ঞানী হিসেবে। নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী দিল্লিতে তাকে বিজ্ঞানী হিসেবে ‘গ্লোবাল চাইল্ড প্রডিজি অ্যাওয়ার্ড’ দেন।
No comments:
Post a Comment
Thank you for your message, I see all your messages, it is not possible to reply many times due to busyness, I hope I will reply to everyone in time, thank you for being with me. Thanks you watching my content. Please like, Follow, Subscribe.